আজ শুক্রবার, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নাসিম ওসমান স্মরণে এতিমদের মাঝে বস্ত্র বিতরন

বস্ত্র বিতরন

বস্ত্র বিতরন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাসিম ওসমান বেঁচে আছে নেতাকর্মীদের হৃদয়ে মন্তব্য করে পারভিন ওসমান বলেন, আমার মনে হয় না নাসিম ওসমান বেঁচে নেই। সে আছে। আপনাদের মাঝেই বেঁচে আছে। আপনাদের এতো ভালোবাসা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত।
বুধবার (৯ মে) দুপুরে মুসলিমনগর বায়তুল আমান শিশু পরিবারের সদস্যদের মাঝে বস্ত্র বিতরনকালে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে এসব কথা বলেন পারভীন ওসমান।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতির উদ্যোগে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম নাসিম ওসমানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে এতিমদের মাঝে বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য প্রয়াত আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের সহধর্মিণী পারভিন ওসমান আরও বলেন, আমি অসুস্থ্য। এখানে আসার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু আওলাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারিনি। এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। যে সম্মান আপনারা আজ আমাকে দিলেন, আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। এটা রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠান নয়। শোক ও মিলাদ মাহফিল। এ ধরনের অনুষ্ঠানে আসতে আমার খারাপ লাগে। কারন নাসিম নেই এটা আমার বিশ্বাস হয় না। আমার মনে হয় সে বেঁচে আছে আপনাদের ভালোবাসায়। আপনাদের কাছে আমার একটা আবেদন, নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ্ যেনো তাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থান দান করে। আর আপনারা যে দাবী করেছেন, সুখে দুখে আপনাদের পাশে থাকার। ইনশাহ্ আল্লাহ্ আমি আপনাদের পাশে থাকবো। আওলাদকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুব সংহতির সাবেক সভাপতি হাজ্বী মোঃ আওলাদ হোসেনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মিলাদ মাহফিল ও কাংগালি ভোজ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষানুরাগী জামাল উদ্দিন সবুজ, কামাল উদ্দিন মাদবর প্রমুখ।
হাজ্বী মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন তার বক্ত্যব্যে বলেন, আমাদের এলাকায় এই এতিমখানা নির্মানের সময় জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় ছিল। তখন পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ নাসিম ওসমানের আমন্ত্রনে আমাদের এলাকায় আসেন। তার হাত ধরেই আজকের এই এতিমখানার সূচনা। আমার বাবা কালু মাদবর এই এতিমখানা নির্মানের জন্য ৪২ শতাংস জায়গা লিখে দিয়েছিলেন নাসিম ওসমানের আহবায়নে। কারন চার একর জায়গা না হলে এটা তখন সরকারি করা সম্ভব ছিল না। আজ নাসিম ভাই জীবিত থাকলে অনেক খুশী হতেন। এই এতিম শিশুদের মাঝে আমাদের প্রিয়নেতা বেঁচে থাকবেন আমাদের কর্মের মধ্য দিয়ে।